প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

নবীনগর উপজেলার এক শান্তিপূর্ণ গ্রামে সূচনা হয় এক স্বপ্নের। ২০০৮ সালের এক প্রভাতে, কিছু আলোকিত মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন—একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পারে একটি প্রজন্মকে বদলে দিতে। সেই বিশ্বাস থেকেই জন্ম নেয় ড্যাফোডিল স্কুল। শিক্ষকদের আন্তরিকতা, অভিভাবকদের আস্থা, এবং শিশুদের প্রতিভা একে একে স্কুলটিকে এগিয়ে নেয় নতুন উচ্চতায়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক সংখ্যা, শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং অর্জনের পরিধি। এই স্কুলের মূলমন্ত্র ছিল— “শিক্ষা হোক আনন্দের, চরিত্র গঠনের এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতির পথ।” ড্যাফোডিল স্কুল শুধু পড়াশোনার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। শিশুদের শিখানো হতো নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, সহমর্মিতা এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা। প্রতি বছর আয়োজন করা হতো বিজ্ঞান মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—যা শিশুদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করত। বিশেষভাবে প্রশংসনীয় ছিল স্কুলটির ডিসিপ্লিন-ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি যা একটি প্রি-ক্যাডেট প্রতিষ্ঠানের জন্য আদর্শ। এখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি শেখে সময় ব্যবস্থাপনা, পোশাক পরিচ্ছন্নতা, শারীরিক ব্যায়াম এবং প্রতিদিনের দায়িত্ববোধ। বর্তমানে ড্যাফোডিল স্কুল, নবীনগর উপজেলার একটি সম্মানিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর শিক্ষার্থীরা শুধু স্থানীয় নয়, জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়ও কৃতিত্ব অর্জন করছে। স্কুলটির প্রতিটি প্রাক্তন শিক্ষার্থী আজ সমাজের বিভিন্ন স্থানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। তারা যখনই ফিরে আসে স্কুলে, গর্বভরে বলে— “এই স্কুলই আমার শিকড়, আমার প্রথম সোপান।” ড্যাফোডিল স্কুল শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি আদর্শ গড়ার প্রতিষ্ঠান। নবীনগরের বুকে এটি যেন একটি দীপ্তিমান সূর্য, যা প্রতিনিয়ত নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করে চলেছে।.....

বিস্তারিত